শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সব কটি হাওরে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনকুলে থাকায় কৃষকরা খুশি মনে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। হাওর ঘুরে দেখা গেছে ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ বোরফসল কর্তন করা হয়েছে। এবার অকালবন্যাসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় অনুকূল পরিবেশের ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে ধান তুলতে পারছেন কৃষকরা। এবার উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে স্হানীয় কৃষকদের মধ্যে প্রচুর ধান কাটা ও মাড়াইর মেশিন সরবরাহ করায় কৃষকরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ধান কর্তন ও মাড়াই দিয়ে গুলায় তুলতে পারছেন। বৃহস্পতিবার কথা হয় নলুয়ার হাওর পাড়ের হিজলা গ্রামের কৃষক আব্দাল মিয়ার সাথে তিনি বলেন,দির্ঘ দিন পর ধান তোলার অনুকুল পরিবেশ পেয়ে আমরা খুশি মনে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছি।এ জন্য মহান আল্লাহ পাকের দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া জানাই। কৃষক দুদুমিয়া বলেন, ১৫ কেদার (৩০ শতকে এক কেদার) জমিতে আবাদ করেছিলাম। ১০ কেদার জমির ধানকেটে ফসল পেয়েছি ১০০ মনের উপর ।তিনি বলেন, এবার ফসল খুব ভাল হয়েছে।
জগন্নথপুর গ্রামের কৃষক তাজ উদ্দিন বলেন,নলুয়া হাওরে আমার চার কেদার জমির ধান মেশিন দিয়ে কেটে ও মাড়াই দিয়ে বাড়ীতে নিয়ে এসেছি। মেশিনে ২ ঘন্টার মধ্যে ধান কেটে ও মাড়াই দিয়ে দেয়।
জগন্নথপুর সদর গ্রামের কৃষক শামীম আহমদ বলেন, মহান আল্লাহর রহমতে এবার আবহাওয়া ও পরিবেশ ভাল থাকায় খুশি মনে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছি। এবার দিন ভাল থাকায় শ্রমিকের অভাব ছিল না। অন্য দিকে ধান কাটার মেশিন থাকায় স্বাচ্ছন্দ্য ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছি আমরা। তিনি বলেন স্হানীয় পিংলার হাওরে ৭কেদার জমিতে বোর ফসল করেছিলাম। এবার ফসল ও ভাল হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার যুগান্তর কে বলেন ,এবার জগন্নাথপুর উপজেলায় ছোট বড় ১৫টি হাওরে ২০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো ফসল আবাদ করা হয়েছে।এবার আমরা স্হানীয় কৃষকদের ধান কাটার মেশিনসরবরাহ করেছি। এ মেশিন দিয়ে একিই সাথে ধান কাটা-মাড়াই ও প্যাকেট জাত করা হয়। এবার ৩৫টি ধান কাটার কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিন আনা হয়েছে। এ মেশিন গুলো চীন ও সাউথ কুরিয়া থেকে আনা হয়। এবার ভালো আবহাওয়া, হাওরে ধান কাটার শ্রমিক সংকট না থাকা ও ধান কাটা-মাড়াইের মেশিন থাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষকরা ধান তুলতে পারছেন। তিনি জানান,হাওর গুলোর প্রায় ৯০%ভাগ বোর ফসল কর্তন করা হয়েছে ।
Leave a Reply